রংপুর, বরিশাল আর খুলনায় যাচ্ছে গ্যাসের লাইন
দীপান্বিতা সূত্রধর

Government has taken project of around Taka 10,800 crore for the supply of gas and expansion of its network in the northern and southern regions of Bangladesh. Credit: Pexels.
বেশ অনেক বছর ধরেই গ্যাসের লাইনের জন্য আবেদন করে আসছেন রংপুর, বরিশাল ও খুলনাবাসী। আর অনেকদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে শীঘ্রই। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ ও তার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য সরকার প্রায় ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সরকার আরও মনে করেন এই প্রকল্পগুলো ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে রংপুর, বরিশাল ও খুলনা শিল্প খাতে আরও উন্নত হবে।
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) রংপুর বিভাগে গ্যাস সরবরাহের ও বিতরণ নেটওয়ার্ক নির্মাণে প্রায় ১৮শ’ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব জ্বালানি বিভাগে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে উত্তারাঞ্চলের বগুড়া পর্যন্ত গ্যাসের লাইন রয়েছে। আর বগুড়া থেকে রংপুর পর্যন্ত গ্যাসের লাইন নেয়ার জন্যই এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে জিটিসিএল। ১৫০ কিলোমিটারের গ্যাস পাইপলাইন স্থাপিত হবে সৈয়দপুর থেকে। আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এছাড়াও রংপুরের পরে এবং নীলফামারী জেলার বিভিন্ন অংশের গ্যাস সরবরাহের জন্য আরও ১৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আর এইসবগুলো প্রকল্পের অর্থায়ন জ্বালানি
রংপুর, বরিশাল ও খুলনাবাসীর অনেকদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে শীঘ্রই। দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ ও তার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য সরকার প্রায় ১০ হাজার ৮০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
রংপুর ছাড়াও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার জন্য রয়েছে সুখবর। এখানকার পুরনো শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের গ্যাসের পরিমাণ ভালই আছে। এর সাথে বরিশালের ভোলা জেলার ভাদুরিয়া উপজেলায় এই জানুয়ারি মাসে নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। সবমিলিয়ে ভোলাতে প্রায় ১.৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ আছে। ভোলা থেকে বরিশালে গ্যাসের পাইপলাইন নেয়ার জন্য ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই পাইপলাইন দিয়ে প্রায় ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহিত হতে পারবে। এই গ্যাসলাইন নির্মাণকাজ এই বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হবে এবং শেষ হবে সম্ভবত পরের বছরের জুনে। আর ভোলাতে গ্যাস পাইপলাইন আসলে ঐ জায়গা থেকে বরিশাল এবং পরবর্তীতে এটিকে খুলনা পর্যন্ত বিস্তারিত করা হবে। ভোলা থেকে খুলনা পর্যন্ত গ্যাস লাইন নেয়ার জন্য প্রধান মন্ত্রীর আদেশে ১ হাজার ৪৭১ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় হিসাব করা হয়েছে।
বর্তমানে উৎপাদিত গ্যাসের বেশির ভাগ গ্যাসই ব্যবহৃত হয় শক্তি উৎপাদনের জন্য। এর সাথে আরও প্রাকৃতিক গ্যাস রান্নার কাজে ব্যবহৃত ছাড়াও আরও অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়। আর দিন দিন প্রাকৃতিক গ্যসের ব্যবহার ধীরে ধীরে বেড়ে চলেছে। ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভ ১৪.১৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। দৈনিক প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন হয় গড়ে দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। যেখানে চাহিদা রয়েছে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাসের চাহিদা মিটাতে বাংলাদেশ সরকার এলএনজি বা তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করছে। বর্তমানে দেশে ১০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস এলএনজি সরবরাহিত হয় এবং ভবিষ্যতে এর পরিমাণ আরও বাড়বে।
যেকোনো এলাকা বা দেশের শিল্পখাতের উন্নয়ন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভর করে জ্বালানি শক্তির উপর। প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী মনে করেন দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য অন্যতম শর্ত হল জ্বালানি আর এই সরকার উত্তর ও দক্ষিণের জেলাগুলোতে গ্যাস পৌঁছানোর জন্য জরুরি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ দিনে দিনে কমছে। যেহেতু এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে এবং দেশে এখনো গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হচ্ছে; এছাড়াও ভারতের একটা গ্যাস লাইন রংপুরের উপর দিয়ে যাবে। সব মিলিয়ে গ্যাস সংকট হবে না বলে মনে করেন জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা।
অনেক গবেষক মনে করেন বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিমাণ গ্যাস মজুদকৃত আছে তা ২০৩১ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু যেই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই গ্যাস সরবরাহ ও তার নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে।
-
পূর্ববর্তী খবর:
অস্কার মূর্তির খুঁটিনাটি
-
পরবর্তী খবর:
রাজশাহীর দর্শনীয় স্থান
Natural gas will be distributed at Rangpur, Barishal, and Khulna soon
Dipanwita Sutradhar

Government has taken project of around Taka 10,800 crore for the supply of gas and expansion of its network in the northern and southern regions of Bangladesh. Credit: Pexels.
The government has taken the project of around Taka 10,800 crore for the supply of gas and expansion of its network in the northern and southern regions of the country. The government further thinks that if these projects are implemented properly then the Rangpur, Barisal and Khulna’s industrial development sector will be improved.
-
পূর্ববর্তী খবর:
Oscar Statue Value: Pros and Cons
-
পরবর্তী খবর:
Places to visit in Rajshahi